শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশ স্বল্পোন্নত হতে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে
মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্বদানকারী দল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ। দেশের বৃহত্তম ও সর্ব প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ‘প্লাটিনাম জয়ন্তী’ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করতে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আজ ২৩ জুন রবিবার আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে- কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মুন্সীরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মুন্সীরহাট ইউপি কার্যালয়ের সংলগ্নে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মুন্সীরহাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ মাহফুজ আলম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত বক্তব্য রাখেন- মুন্সীরহাট ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুলছুমা বেগম, মুন্সীরহাট ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি এ্যাডভোকেট ইয়াকুব আলী ভূঁইয়া, মুন্সীরহাট ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সভাপতি মফিজুর রহমান। উপস্থিত অন্যান্যদের নেতাকর্মীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন–মুন্সীরহাট ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার সাহাবুদ্দিন রানা, ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার দীন মোহাম্মদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ আলমগীর হোসেন সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি মাহফুজ আলম তার বক্তব্যে বলেছেন, ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আত্মপ্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি এদেশের অহংকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি করেছে। শত বাধা-বিপত্তি এবং হত্যার হুমকিসহ নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে, শেখ হাসিনা ভাত-ভোট এবং সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ের জন্য অবিচল থেকে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগণ অর্জন করেছে গণতন্ত্র ও বাক-স্বাধীনতা। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত হতে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে।
মুন্সীরহাট আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজ আলম আরো বলেছেন, শেখ হাসিনার শাসনামলে আর্থ-সামাজিক খাতে দেশ অভূতপূর্ব অগ্রগতি অর্জন করেছে। এছাড়া, তিনি কৃষকদের জন্য বিভিন্ন কল্যাণমূলক কর্মসূচি এবং ভূমিহীন, দুস্থ মানুষের জন্য সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি চালু করেছেন। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: দুস্থ মহিলা ও বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বয়স্কদের জন্য শান্তি নিবাস, আশ্রয়হীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প এবং একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প তিনি বাংলার মাটিতে অব্যাহত রেখেছেন।
মাহফুজ আলম আরো বলেছেন, চতুর্থ মেয়াদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে- উন্নয়ন দেশের কাতারে অন্তভুক্তি করে, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করেছেন এবং সমাপ্ত করেছেন মেট্রোরেলের কাজ। ঢাকায় এখন মেট্রোরেলের চলাচল শুরু করেছে। রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বেশ কয়েকটি জেলা শহরের সংযোগ সড়ক চার-লেনে উন্নীত করা হয়েছে। রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ, মাতারবাড়ি বহুমুখী প্রকল্পসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়নের কাজ ইতিমধ্যে সম্পূর্ণ হয়েছে। যার ফলে শান্তি প্রতিষ্ঠা, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য বিশ্বের বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন ডিগ্রি এবং পুরস্কার প্রদান করে।