মেরামতের জন্য নেওয়া ফোন থেকে ছবি নিয়ে ব্ল্যাকমেইল, যুবকের কারাদণ্ড
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে পর্নোগ্রাফি মামলায় মনির হোসেন (৩১) নামে এক যুবককে ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তার ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। মেরামতের জন্য নেওয়া মোবাইল ফোন থেকে ছবি নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করেন ওই যুবক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালতে আসামি মনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। রায়ের সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত মনির কমলনগরের চরলরেন্স ইউনিয়নের চরলরেন্স গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে ও স্থানীয় চৌধুরী বাজারের রুনা টেলিকম দোকানের স্বত্বাধিকারী।
আদালত ও এজাহার সূত্র জানায়, মামলার বাদী এক প্রবাসীর স্ত্রী (২৬)। তিনি কমলনগর উপজেলার বাসিন্দা। আসামি মনিরের দোকানে গৃহবধূ তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন মেরামতের জন্য যায়। এ সুযোগে মনির ওই মোবাইল ফোন থেকে গৃহবধূ ও তার স্বামীর অন্তরঙ্গ চিত্র তার কম্পিউটারে নিয়ে নেয়। পরে সেগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে গৃহবধূকে ভয়ভীতি দেখায়। এটি পুঁজি করে গৃহবধূর সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে মনির। পরে সেগুলোও মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখে এবং গৃহবধূকে ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নেয়। ২০২২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি অন্তরঙ্গ ভিডিও ফুটেজ তার ব্যবহৃত ফেসবুকের মেসেঞ্জারসহ আরও দুটি ফেসবুক আইডি থেকে গৃহবধূর স্বামী এবং তার বোনের মেসেঞ্জারে পাঠান মনির।
এ ঘটনায় ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে মনিরের বিরুদ্ধে কমলনগর থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। একই বছর ৪ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কমলনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সফিকুল ইসলাম আদালতে মনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।