ঢাকা ০২:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বেনজীরের রূপগঞ্জের ডুপ্লেক্স বাড়ি প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে যাচ্ছে Logo আজ সাংবাদিক সায়ীদ আবদুল মালিকের পিতা আবুল হাসেম মেম্বারের মৃত্যুবার্ষিকী Logo ‘বিএনপিতে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে’ Logo জসিমের ‘কেলেঙ্কারির’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থার তথ্য জানতে চায় আইডিআরএ Logo নাসিরনগরে নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অসত্য, বিভ্রান্তিকর সংবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ Logo স্ত্রীর গলা কেটে হত্যাচেষ্টা, স্বামীকে পুলিশে দিলেন স্থানীয়রা Logo গৃহায়ন সংকট নিরসনে প্রকৌশলী জোয়ারদার তাবেদুন নবী’র ভূয়সী উদ্যোগ Logo রাজধানীতে আবারও চিরচেনা যানজট Logo কলেজছাত্রীর আপত্তিকর ভিডিও, গ্রেপ্তার ১ Logo মামুনুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

মানসিক প্রশান্তির জন্য আল্লাহর জিকির

নিজস্ব প্রতিবেদক

তুমুল অস্থিরতা মনোজগতকে করে তোলে বিকারগ্রস্ত। এমতাবস্থায় আমরা কী করি? খুঁজতে থাকি, কীসে একটুখানি শান্তি মিলবে।

বিতৃষ্ণ ভগ্ন হৃদয়ে প্রশান্তির সুখ হাওয়া বইবে। অনেকেই জানে না এমতাবস্থায় কীসে মিলবে সে শান্তি। অথচ স্বয়ং আল্লাহতায়ালাই তা বাতলে দিয়েছেন আমাদের জন্য : ‘এরা সেসব লোক, যারা ইমান এনেছে এবং যাদের অন্তর আল্লাহর জিকিরে প্রশান্তি লাভ করে। স্মরণ রেখ, কেবল আল্লাহর জিকিরেই অন্তরে প্রশান্তি লাভ হয়।’ (সূরা আর রা’দ-২৮)।

একবার পরীক্ষা করেই দেখুন না। ভগ্ন হৃদয়ে একাকী নীরবে আল্লাহতায়ালাকে স্মরণ করুন। দেখবেন, মুহূর্তেই আপনার হৃদয়ে প্রশান্তির শীতল পরশ বয়ে যাবে। একটু আগের সেই বিষণ্নতা, অস্থিরতা বেমালুম ভুলে যাবেন। এ ছাড়াও আল্লাহর জিকিরে অন্তরে ভীতি সঞ্চার হয়। আর যখন আল্লাহতায়ালার ভয়ভীতি ঢুকবে তখন তো গুনাহও কমে যাবে।

অন্তর থাকবে কলুষমুক্ত, পবিত্র, অস্থিরতামুক্ত। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘মুমিন তো তারাই, যাদের হৃদয় কম্পিত হয় যখন আল্লাহকে স্মরণ করা হয় এবং যখন তাঁর আয়াত তাদের নিকট পাঠ করা হয়, তখন তা তাদের ইমান বৃদ্ধি করে আর তারা তাদের প্রতিপালকের ওপরই ভরসা করে।’ (সূরা আনফাল-২)।

হাদিসে এসেছে ‘হজরত আবু মুসা আশআরী (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহতায়ালার জিকির করে এবং যে করে না তাদের উদাহরণ হচ্ছে জীবিত এবং মৃত ব্যক্তির ন্যায়।’ (হাদিস নং : ৬৪০৭)। আসলেও তাই। বাহ্যিক দৃষ্টিতে তাকে জীবিত মনে হলেও আসলে সে ব্যক্তি মৃত। তাই অন্তরকে জীবিত রাখতে সর্বদা জিকিরের ইহতেমাম করতে হবে।

জিকিরে জিকিরে জিহ্বাকে রাখতে হবে তরতাজা। রাসূল (সা.) যেমনটি এক বেদুঈনকে বলে দিয়েছেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু বুসর রাজি. থেকে বর্ণিত, জনৈক বেদুঈন রাসূল (সা.)-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল!

আমার জন্য ইসলামের শরিয়তের বিষয়াদি অতিরিক্ত হয়ে গেছে। সুতরাং আমাকে এমন একটি বিষয় জানান, যা আমি শক্তভাবে আঁকড়ে থাকতে পারি। তিনি বললেন, সর্বদা তোমার জিহ্বা যেন আল্লাহতায়ালার জিকির দ্বারা আর্দ্র থাকে। (ইবনু মাজাহ, হাদিস নং : ৩৭৯৩)।

উপরোক্ত আয়াত হাদিস দ্বারা বোঝা গেল, বেশি বেশি আল্লাহতায়ালার জিকিরের মাধ্যমে গাফেল হৃদয় জাগ্রত হয়। মনের অশান্তি দূরীভূত হয়। এবং আল্লাহতায়ালার ভয়ভীতি হৃদয়ে সদা জাগরুক থাকে। ফলে অন্যায় এবং পাপ কাজ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা একদমই সহজতর হয়ে পড়ে। তাই আসুন, জিহ্বাকে আল্লাহর জিকিরে তরতাজা রাখি সব সময়।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Dainik Renaissance

আমাদের ওয়েসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আপনাদের আশে পাশের সকল সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন
আপডেট সময় ০১:৪৬:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩
১৫৭ বার পড়া হয়েছে

মানসিক প্রশান্তির জন্য আল্লাহর জিকির

আপডেট সময় ০১:৪৬:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ জুলাই ২০২৩

তুমুল অস্থিরতা মনোজগতকে করে তোলে বিকারগ্রস্ত। এমতাবস্থায় আমরা কী করি? খুঁজতে থাকি, কীসে একটুখানি শান্তি মিলবে।

বিতৃষ্ণ ভগ্ন হৃদয়ে প্রশান্তির সুখ হাওয়া বইবে। অনেকেই জানে না এমতাবস্থায় কীসে মিলবে সে শান্তি। অথচ স্বয়ং আল্লাহতায়ালাই তা বাতলে দিয়েছেন আমাদের জন্য : ‘এরা সেসব লোক, যারা ইমান এনেছে এবং যাদের অন্তর আল্লাহর জিকিরে প্রশান্তি লাভ করে। স্মরণ রেখ, কেবল আল্লাহর জিকিরেই অন্তরে প্রশান্তি লাভ হয়।’ (সূরা আর রা’দ-২৮)।

একবার পরীক্ষা করেই দেখুন না। ভগ্ন হৃদয়ে একাকী নীরবে আল্লাহতায়ালাকে স্মরণ করুন। দেখবেন, মুহূর্তেই আপনার হৃদয়ে প্রশান্তির শীতল পরশ বয়ে যাবে। একটু আগের সেই বিষণ্নতা, অস্থিরতা বেমালুম ভুলে যাবেন। এ ছাড়াও আল্লাহর জিকিরে অন্তরে ভীতি সঞ্চার হয়। আর যখন আল্লাহতায়ালার ভয়ভীতি ঢুকবে তখন তো গুনাহও কমে যাবে।

অন্তর থাকবে কলুষমুক্ত, পবিত্র, অস্থিরতামুক্ত। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘মুমিন তো তারাই, যাদের হৃদয় কম্পিত হয় যখন আল্লাহকে স্মরণ করা হয় এবং যখন তাঁর আয়াত তাদের নিকট পাঠ করা হয়, তখন তা তাদের ইমান বৃদ্ধি করে আর তারা তাদের প্রতিপালকের ওপরই ভরসা করে।’ (সূরা আনফাল-২)।

হাদিসে এসেছে ‘হজরত আবু মুসা আশআরী (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহতায়ালার জিকির করে এবং যে করে না তাদের উদাহরণ হচ্ছে জীবিত এবং মৃত ব্যক্তির ন্যায়।’ (হাদিস নং : ৬৪০৭)। আসলেও তাই। বাহ্যিক দৃষ্টিতে তাকে জীবিত মনে হলেও আসলে সে ব্যক্তি মৃত। তাই অন্তরকে জীবিত রাখতে সর্বদা জিকিরের ইহতেমাম করতে হবে।

জিকিরে জিকিরে জিহ্বাকে রাখতে হবে তরতাজা। রাসূল (সা.) যেমনটি এক বেদুঈনকে বলে দিয়েছেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনু বুসর রাজি. থেকে বর্ণিত, জনৈক বেদুঈন রাসূল (সা.)-এর কাছে এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল!

আমার জন্য ইসলামের শরিয়তের বিষয়াদি অতিরিক্ত হয়ে গেছে। সুতরাং আমাকে এমন একটি বিষয় জানান, যা আমি শক্তভাবে আঁকড়ে থাকতে পারি। তিনি বললেন, সর্বদা তোমার জিহ্বা যেন আল্লাহতায়ালার জিকির দ্বারা আর্দ্র থাকে। (ইবনু মাজাহ, হাদিস নং : ৩৭৯৩)।

উপরোক্ত আয়াত হাদিস দ্বারা বোঝা গেল, বেশি বেশি আল্লাহতায়ালার জিকিরের মাধ্যমে গাফেল হৃদয় জাগ্রত হয়। মনের অশান্তি দূরীভূত হয়। এবং আল্লাহতায়ালার ভয়ভীতি হৃদয়ে সদা জাগরুক থাকে। ফলে অন্যায় এবং পাপ কাজ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা একদমই সহজতর হয়ে পড়ে। তাই আসুন, জিহ্বাকে আল্লাহর জিকিরে তরতাজা রাখি সব সময়।