ঢাকা ০২:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বেনজীরের রূপগঞ্জের ডুপ্লেক্স বাড়ি প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে যাচ্ছে Logo আজ সাংবাদিক সায়ীদ আবদুল মালিকের পিতা আবুল হাসেম মেম্বারের মৃত্যুবার্ষিকী Logo ‘বিএনপিতে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে’ Logo জসিমের ‘কেলেঙ্কারির’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থার তথ্য জানতে চায় আইডিআরএ Logo নাসিরনগরে নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অসত্য, বিভ্রান্তিকর সংবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ Logo স্ত্রীর গলা কেটে হত্যাচেষ্টা, স্বামীকে পুলিশে দিলেন স্থানীয়রা Logo গৃহায়ন সংকট নিরসনে প্রকৌশলী জোয়ারদার তাবেদুন নবী’র ভূয়সী উদ্যোগ Logo রাজধানীতে আবারও চিরচেনা যানজট Logo কলেজছাত্রীর আপত্তিকর ভিডিও, গ্রেপ্তার ১ Logo মামুনুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বনের জমি দখল করে নির্মাণ কাজ! কর্মকর্তারা উদাসীন

রায়হান চৌধুরী

পরিবেশের এই বিপন্নতা নিয়ে বন বিভাগ একেবারেই উদাসীন। বনজমি দখলদারদের বিরুদ্ধে বন বিভাগ জিরো টলারেন্স থাকার ঘোষনা দিলেও মাঠপর্যায়ে এ ঘোষনা তেমন কার্যকর হচ্ছে না। বনকর্তাদের গুটিকয়েক ভূমিদস্যুদের সাথে আতাত করায় বনজমি দখলের হিড়িক আগের চেয়ে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ। চিহ্নিত এই বনভূমি দখলবাজরা ভবন নির্মাণ করে ভাড়া দিলেও সংশ্লিষ্ট বনকর্তারা তাদের আইন প্রয়োগে রহস্যজনক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।

গাজীপুরের সদর উপজেলার ভাওয়াগড় ইউনিয়নের দিঘলাপাড়া বিট ও রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা বিট বনের জমি দখল করে পাকা ঘরবাড়ি নির্মাণের প্রতিযোগিতা চলছে।
জানা যায়- ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বহেরাতুলি শাহিন স্কুলের শিক্ষিকা রোকসানা বনের জমি দখল করে অবৈধ ভাবে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে বনের সংরক্ষিত গেজেট ভুক্ত প্রায় হাজার বিঘা জমি এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল ও স্থানীয় কতিপয় দালাল তদবির কারকদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বনের জমি দিনে রাতে বন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে দখল প্রতিযোগিতায় মাঠে নেমেছে ওই অসাধু মহলটি।

এদিকে কেউ কেউ আবার শুধু দখলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, জমি দখল করে নিজের কব্জায় রেখে পজিশন বিক্রির হিড়িক পড়েছে এই ইউনিয়ন গুলোতে। এর ফলে কেউ আঙ্গুল ফুলে হচ্ছে কলা গাছ। আবার অন্যদিকে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বনাঞ্চল।

সরজমিনে দেখা যায় ভাওয়ালগড় রেঞ্জ এর আওতাধীন দিঘলাপাড়া বিটে বনবিভাগের জায়গায় নতুন অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে,বন বিভাগের কর্মকর্তারা নির্মাণ কাজে বাঁধা দিয়ে আশার পরও কাজ চলমান পাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রহস্যজনক আচরণ বন কর্মকর্তাদের।
এ ব্যাপারে রেঞ্জ কর্মকর্তা মাসুদ রানাকে- ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

(চলমান)

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Dainik Renaissance

আমাদের ওয়েসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আপনাদের আশে পাশের সকল সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন
আপডেট সময় ০২:২৭:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
২৪৯ বার পড়া হয়েছে

বনের জমি দখল করে নির্মাণ কাজ! কর্মকর্তারা উদাসীন

আপডেট সময় ০২:২৭:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

পরিবেশের এই বিপন্নতা নিয়ে বন বিভাগ একেবারেই উদাসীন। বনজমি দখলদারদের বিরুদ্ধে বন বিভাগ জিরো টলারেন্স থাকার ঘোষনা দিলেও মাঠপর্যায়ে এ ঘোষনা তেমন কার্যকর হচ্ছে না। বনকর্তাদের গুটিকয়েক ভূমিদস্যুদের সাথে আতাত করায় বনজমি দখলের হিড়িক আগের চেয়ে দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে স্থানীয় সচেতন মহলের অভিযোগ। চিহ্নিত এই বনভূমি দখলবাজরা ভবন নির্মাণ করে ভাড়া দিলেও সংশ্লিষ্ট বনকর্তারা তাদের আইন প্রয়োগে রহস্যজনক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।

গাজীপুরের সদর উপজেলার ভাওয়াগড় ইউনিয়নের দিঘলাপাড়া বিট ও রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা বিট বনের জমি দখল করে পাকা ঘরবাড়ি নির্মাণের প্রতিযোগিতা চলছে।
জানা যায়- ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বহেরাতুলি শাহিন স্কুলের শিক্ষিকা রোকসানা বনের জমি দখল করে অবৈধ ভাবে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে বনের সংরক্ষিত গেজেট ভুক্ত প্রায় হাজার বিঘা জমি এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল ও স্থানীয় কতিপয় দালাল তদবির কারকদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় বনের জমি দিনে রাতে বন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে দখল প্রতিযোগিতায় মাঠে নেমেছে ওই অসাধু মহলটি।

এদিকে কেউ কেউ আবার শুধু দখলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, জমি দখল করে নিজের কব্জায় রেখে পজিশন বিক্রির হিড়িক পড়েছে এই ইউনিয়ন গুলোতে। এর ফলে কেউ আঙ্গুল ফুলে হচ্ছে কলা গাছ। আবার অন্যদিকে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বনাঞ্চল।

সরজমিনে দেখা যায় ভাওয়ালগড় রেঞ্জ এর আওতাধীন দিঘলাপাড়া বিটে বনবিভাগের জায়গায় নতুন অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে,বন বিভাগের কর্মকর্তারা নির্মাণ কাজে বাঁধা দিয়ে আশার পরও কাজ চলমান পাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রহস্যজনক আচরণ বন কর্মকর্তাদের।
এ ব্যাপারে রেঞ্জ কর্মকর্তা মাসুদ রানাকে- ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

(চলমান)