পল্লীবন্ধুর হাতে গড়া জাতীয় পার্টি ধ্বংস করার অধিকার আপনার নেই–সাহিদুর রহমান টেপা
মাননীয় জিএম কাদের সাহেব, আপনি বলছেন, বিভিন্ন চাপে নির্বাচনে গিয়েছেন অথবা যেতে বাধ্য হয়েছেন। অথচ, আপনি (জিএম কাদের) নিজেই বলেছিলেন আমি ভয় পাই না। জনগনের সেন্টিমেন্টের সাথে আমি আছি। আর এখন বলছেন চাপে নির্বাচনে যেতে বাধ্য হয়েছি। ভয় ও চাপ উপেক্ষা করতে না পারলে রাজনীতি কেনো করেন?
আসলেই কি চাপ ছিলো নাকি রাষ্ট্রীয় সুযোগসুবিধা ভোগ করার জন্য। জাতি তা জানতে চায়। আপনি বলেছেন, নির্বাচনে সরকার যাকে এমপি বানাতে চেয়েছেন – কেবলমাত্র তিনিই এমপি হয়েছেন। আপনার এই বক্তব্য সত্য ধরে নিলে আপনিও নিশ্চয় সরকারের ইচ্ছায় এমপি হয়েছেন!
আপনি কেমন জনপ্রিয় তাও জাতি অবগত। নিজ নির্বাচনী এলাকা লালমনিরহাটে পরাজিত হবেন জেনে এরশাদপুত্র শাদকে বাদ দিয়ে রংপুর সদর থেকে নির্বাচন করলেন। সেখানেও আমরা দেখেছি আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী তৃতীয় লিঙ্গের একজন নির্বাচনী ফলাফলের প্রথমদিকে এগিয়েও ছিলো। দুষ্ট লোকেরা বলে সেখানেও রাতারাতি ফলাফল উল্টিয়ে আপনাকে জয়ী করা হয়।
আপনার কথামতো, পরাজিত হবে জেনেও দলের আড়াই শতাধিক প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিলেও তাদের কোনো খোজখবর রাখেননি আপনি। অনেক প্রার্থীর বাড়ীঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুট হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের আক্রমণে আমাদের অনেক প্রার্থী মারাত্মক আহতও হয়েছেন। সেসকল নির্যাতিত প্রার্থী শুধুমাত্র কষ্ট ও বিপদের কথা জানানোর জন্য আপনাকে কল দিলে রিসিভ পর্যন্তও করেননি আপনি।
মাননীয় জিএম কাদের সাহেব, মনে রাখবেন মানুষের হৃদয়ে প্রবেশ করা কঠিন। কিন্তু হৃদয় থেকে ওঠে যাওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। আপনি গত দুই-তিন বছর দেশ ও জাতির জন্য যে নীতিবাচ্য করেছেন তা থেকে আপনি নিজেকে এবং নিজ স্ত্রীকে এমপি বানানো লোভে রাতারাতি ইউটার্ণ দিলেন। এখন বা ভবিষ্যতে আপনি যতই নীতি কথা বলে মানুষকে বুঝানোর চেষ্টা করেন তাতে সফল হবেন না। মানুষ এখন আপনাকে একজন অভিনেতা হিসেবে জানে। যেমন ঘটেছিলো বাঘ এলো বাঘ এলো গল্পের মত।
মাননীয় জিএম কাদের সাহেব, আপনি নিজ স্বার্থে শুধু দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে প্রতারণা করেছেন তাই নয়, আপনি দেশের লাখ লাখ নেতাকর্মীর সাথেও প্রতারণা করেছেন। আজকে আপনি নিজেই চান দলটি ছোট হোক। যাতে কেউ আপনার কোনো অন্যায় ও অনিয়মের প্রতিবাদ করতে না পারে।
মাননীয় জিএম কাদের সাহেব, এই জাতীয় পার্টি সৃষ্টিতে অথবা কর্মী তৈরীতে আপনার কোনো অবদান নেই। ছিলেন না এরশাদ মুক্তি আন্দোলনে রাজপথে। আপনি কি করে বুঝবেন কর্মীর মূল্যায়ন! তাই কর্মীরা চলে গেলে আপনার কিছুই আসে যায় না।