ঢাকা ০৩:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বেনজীরের রূপগঞ্জের ডুপ্লেক্স বাড়ি প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে যাচ্ছে Logo আজ সাংবাদিক সায়ীদ আবদুল মালিকের পিতা আবুল হাসেম মেম্বারের মৃত্যুবার্ষিকী Logo ‘বিএনপিতে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে’ Logo জসিমের ‘কেলেঙ্কারির’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থার তথ্য জানতে চায় আইডিআরএ Logo নাসিরনগরে নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অসত্য, বিভ্রান্তিকর সংবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ Logo স্ত্রীর গলা কেটে হত্যাচেষ্টা, স্বামীকে পুলিশে দিলেন স্থানীয়রা Logo গৃহায়ন সংকট নিরসনে প্রকৌশলী জোয়ারদার তাবেদুন নবী’র ভূয়সী উদ্যোগ Logo রাজধানীতে আবারও চিরচেনা যানজট Logo কলেজছাত্রীর আপত্তিকর ভিডিও, গ্রেপ্তার ১ Logo মামুনুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

জয়দেবপুর থানা পুলিশের কান্ড-বাদীকে হুমকির অভিযোগ

মীর হোসেন আরমান

গাজীপুরের  জয়দেবপুরে রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টে (সিলভার রেইন) গতকাল সন্ত্রাসী হামলা, ৪০ লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট এবং রিসোর্ট দখল করার অভিযোগ পাওয়া যায়।

জানা যায়, সামস ডেভেলপারস নামক একটি কোম্পানী নিজস্ব ২টি বিল্ডিং সহ ৬টি ভবন ১০ বছরের জন্য ভাড়া নিয়ে রিসোর্ট ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। চুক্তির আড়াই বছর অতিবাহিত হওয়ার পর হঠাৎ ভবন মালিকগণ ভাড়াটিয়া চুক্তি বাতিলের চেষ্টা করে। এতে ব্যর্থ হয়ে গতকাল বুধবার সন্ত্রাসী কায়গায় দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে পুরো রিসোর্ট দখল করে নেয় এবং রিসোর্টের কর্মরত সকল স্টাফদের বের করে দেয়।

রিসোর্টের দায়িত্বরত কর্মকর্তা সারোয়ার হোসেন বলেন, দুপুর দেড়টার সময় মোটর সাইকেল নিয়ে একদল সন্ত্রাসী তন্ময় ও সাগরের নেতৃত্বে রিসোর্ট দখল করে। রাত প্রায় পৌনে ১টার সময় রিসোর্টের সোপা, চেয়ার, গ্লাস ও অন্যান্য ফার্ণিচারসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নেয়ার পথে, চাঙ্গিরচর এলাকাবাসী একজনকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে।

রিসোর্টের পরিচালক আজিজুর রহমান এ ঘটনায় বিষয়ে বাদী হয়ে ১২ জনকে বিবাদী করে জয়দেবপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। আসামী গ্রেফতারের প্রায় ২৪ ঘন্টা হলেও এখনি পর্যন্ত মামলা রুজু করেনি জয়দেবপুর থানা পুলিশ। অভিযোগকারী আজিজুর রহমান বলেন- বৃহস্পতিবার ১১টায় অভিযোগ দায়ের করলেও এখনি পর্যন্ত পুলিশ মামলা নেয়নি। আমাদের স্টাফরা মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি। এ পর্যন্ত ৮ বার আমাদের এখানে হামলা হয়েছে। তদন্তের কথা বলে সময়ক্ষেপণ করে উল্টো বাদীকে হেয়প্রতিপন্ন করছে বলে সূত্র জানিয়েছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়- জয়দেবপুর থানার ওসি ইব্রাহিম খলিল যোগদানের পর থেকে আইন শৃঙ্খলা চরম অবনতি হচ্ছে। মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহন করে সেবা গ্রহিতাদের হয়রানি করছেন।
অভিযোগ সূত্র জানায়, অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকসহ পূর্ব বিরোধের জের ধরে, বেআইনী জনতাবদ্ধে একই উদ্দেশ্য সাধন কল্পে জয়দেবপুর থানাধীন পিঙ্গাইল সাকিনস্থ রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট লিঃ (আর.ই.আর.এল বিজনেস এ্যাসুসিয়েট) এর অভ্যন্তরে অনধিকার প্রবেশ করে। এসময় রিসোর্টে নিয়োজিত কর্মচারীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতঃ জোর পূর্বক রিসোর্ট দখলের চেষ্টা করে। তখন প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিত কর্মচারী মোঃ ফরিদ উদ্দিন (৩৭), মোঃ সারোয়ার হোসেন (৪৫), মোঃ আক্তার হোসেন (৫০), মোঃ মুনাফ (৩৮) ও মোঃ ইউনুছ (৩৯) গণ উক্ত বিবাদীদের অন্যায় কার্যকলাপের ন্যায় সঙ্গত প্রতিবাদ করলে বিবাদী মোঃ শফিকুল ইসলাম ও মোঃ তাসনীম ফয়েজ সাকিবদ্বয়ের হুকুমে ও নির্দেশে সকল সন্ত্রাসীরা কর্মচারীদের হত্যার হুমকি দিয়া এলোপাথারী ভাবে মারপিট করে- তাহাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা বেদনাদায়ক থেতলাযুক্ত জখম করে। একপর্যায়ে বিবাদী সৈয়দ রাকু দেওয়ান ও মোঃ তন্ময়দ্বয় তাদের হাতে থাকা লোহার রড ও লাঠি দিয়া আমার প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিত কর্মচারী মোঃ ফরিদ উদ্দিনকে এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা থেতলাযুক্ত বেদনাদায়ক জখম করে। উক্ত আঘাতের ফলে মোঃ ফরিদ উদ্দন মাটিতে লুটাইয়া পড়লে সন্ত্রাসী সৈয়দ রাকু দেওয়ান তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে মোঃ ফরিদ উদ্দিনকে চিরতরে পঙ্গু করার অসৎ উদ্দেশ্যে তার ডান পায়ের গোড়ালিতে স্বজোরে আঘাত করে হাড় ভাঙ্গা গুরুতর জখম করে। এ সুযোগে সন্ত্রাসী তন্ময় দলবদ্ধ হয়ে রিসোর্টের কর্মচারী মারধর করে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে বলে সূত্র জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে জয়দেবপুর থানার ওসিকে একাধিকবার ফোন করার পরও তিনি রিসিভ করেনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Dainik Renaissance

আমাদের ওয়েসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আপনাদের আশে পাশের সকল সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন
আপডেট সময় ০৯:২৪:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪
১১৭ বার পড়া হয়েছে

জয়দেবপুর থানা পুলিশের কান্ড-বাদীকে হুমকির অভিযোগ

আপডেট সময় ০৯:২৪:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪

গাজীপুরের  জয়দেবপুরে রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্টে (সিলভার রেইন) গতকাল সন্ত্রাসী হামলা, ৪০ লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট এবং রিসোর্ট দখল করার অভিযোগ পাওয়া যায়।

জানা যায়, সামস ডেভেলপারস নামক একটি কোম্পানী নিজস্ব ২টি বিল্ডিং সহ ৬টি ভবন ১০ বছরের জন্য ভাড়া নিয়ে রিসোর্ট ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। চুক্তির আড়াই বছর অতিবাহিত হওয়ার পর হঠাৎ ভবন মালিকগণ ভাড়াটিয়া চুক্তি বাতিলের চেষ্টা করে। এতে ব্যর্থ হয়ে গতকাল বুধবার সন্ত্রাসী কায়গায় দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে পুরো রিসোর্ট দখল করে নেয় এবং রিসোর্টের কর্মরত সকল স্টাফদের বের করে দেয়।

রিসোর্টের দায়িত্বরত কর্মকর্তা সারোয়ার হোসেন বলেন, দুপুর দেড়টার সময় মোটর সাইকেল নিয়ে একদল সন্ত্রাসী তন্ময় ও সাগরের নেতৃত্বে রিসোর্ট দখল করে। রাত প্রায় পৌনে ১টার সময় রিসোর্টের সোপা, চেয়ার, গ্লাস ও অন্যান্য ফার্ণিচারসহ বিভিন্ন মালামাল লুট করে নেয়ার পথে, চাঙ্গিরচর এলাকাবাসী একজনকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে।

রিসোর্টের পরিচালক আজিজুর রহমান এ ঘটনায় বিষয়ে বাদী হয়ে ১২ জনকে বিবাদী করে জয়দেবপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। আসামী গ্রেফতারের প্রায় ২৪ ঘন্টা হলেও এখনি পর্যন্ত মামলা রুজু করেনি জয়দেবপুর থানা পুলিশ। অভিযোগকারী আজিজুর রহমান বলেন- বৃহস্পতিবার ১১টায় অভিযোগ দায়ের করলেও এখনি পর্যন্ত পুলিশ মামলা নেয়নি। আমাদের স্টাফরা মার খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি। এ পর্যন্ত ৮ বার আমাদের এখানে হামলা হয়েছে। তদন্তের কথা বলে সময়ক্ষেপণ করে উল্টো বাদীকে হেয়প্রতিপন্ন করছে বলে সূত্র জানিয়েছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়- জয়দেবপুর থানার ওসি ইব্রাহিম খলিল যোগদানের পর থেকে আইন শৃঙ্খলা চরম অবনতি হচ্ছে। মোটা অংকের উৎকোচ গ্রহন করে সেবা গ্রহিতাদের হয়রানি করছেন।
অভিযোগ সূত্র জানায়, অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকসহ পূর্ব বিরোধের জের ধরে, বেআইনী জনতাবদ্ধে একই উদ্দেশ্য সাধন কল্পে জয়দেবপুর থানাধীন পিঙ্গাইল সাকিনস্থ রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট লিঃ (আর.ই.আর.এল বিজনেস এ্যাসুসিয়েট) এর অভ্যন্তরে অনধিকার প্রবেশ করে। এসময় রিসোর্টে নিয়োজিত কর্মচারীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতঃ জোর পূর্বক রিসোর্ট দখলের চেষ্টা করে। তখন প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিত কর্মচারী মোঃ ফরিদ উদ্দিন (৩৭), মোঃ সারোয়ার হোসেন (৪৫), মোঃ আক্তার হোসেন (৫০), মোঃ মুনাফ (৩৮) ও মোঃ ইউনুছ (৩৯) গণ উক্ত বিবাদীদের অন্যায় কার্যকলাপের ন্যায় সঙ্গত প্রতিবাদ করলে বিবাদী মোঃ শফিকুল ইসলাম ও মোঃ তাসনীম ফয়েজ সাকিবদ্বয়ের হুকুমে ও নির্দেশে সকল সন্ত্রাসীরা কর্মচারীদের হত্যার হুমকি দিয়া এলোপাথারী ভাবে মারপিট করে- তাহাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা বেদনাদায়ক থেতলাযুক্ত জখম করে। একপর্যায়ে বিবাদী সৈয়দ রাকু দেওয়ান ও মোঃ তন্ময়দ্বয় তাদের হাতে থাকা লোহার রড ও লাঠি দিয়া আমার প্রতিষ্ঠানের নিয়োজিত কর্মচারী মোঃ ফরিদ উদ্দিনকে এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা থেতলাযুক্ত বেদনাদায়ক জখম করে। উক্ত আঘাতের ফলে মোঃ ফরিদ উদ্দন মাটিতে লুটাইয়া পড়লে সন্ত্রাসী সৈয়দ রাকু দেওয়ান তার হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে মোঃ ফরিদ উদ্দিনকে চিরতরে পঙ্গু করার অসৎ উদ্দেশ্যে তার ডান পায়ের গোড়ালিতে স্বজোরে আঘাত করে হাড় ভাঙ্গা গুরুতর জখম করে। এ সুযোগে সন্ত্রাসী তন্ময় দলবদ্ধ হয়ে রিসোর্টের কর্মচারী মারধর করে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে বলে সূত্র জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে জয়দেবপুর থানার ওসিকে একাধিকবার ফোন করার পরও তিনি রিসিভ করেনি।