ঢাকা ১০:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জসিমের ‘কেলেঙ্কারির’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থার তথ্য জানতে চায় আইডিআরএ Logo নাসিরনগরে নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অসত্য, বিভ্রান্তিকর সংবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ Logo স্ত্রীর গলা কেটে হত্যাচেষ্টা, স্বামীকে পুলিশে দিলেন স্থানীয়রা Logo গৃহায়ন সংকট নিরসনে প্রকৌশলী জোয়ারদার তাবেদুন নবী’র ভূয়সী উদ্যোগ Logo রাজধানীতে আবারও চিরচেনা যানজট Logo কলেজছাত্রীর আপত্তিকর ভিডিও, গ্রেপ্তার ১ Logo মামুনুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা Logo চৌদ্দগ্রামে বর্ণাঢ্য আয়োজনে আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তী উদযাপন Logo শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশ স্বল্পোন্নত হতে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে Logo কুমিল্লায় রোহিঙ্গাকে জন্ম নিবন্ধন দেওয়ার অভিযোগে ইউপি সচিব গ্রেফতার

কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম)

জমে উঠেছে চৌদ্দগ্রামের রাজনীতি

আকতার হোসেন সাদ্দাম

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নিয়ে কুমিল্লা-১১ আসনে নির্বাচনী আবহ বিরাজ করছে। কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নে ভোটার ৩ লাখ ২৮ হাজার ১৫৯ জন। ভোট কেন্দ্র ১০৭টি ও ভোট কক্ষ ৬৪৪টি। আসনটিতে জমে উঠেছে নির্বাচনী রাজনীতি। বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। অনেকে প্রচারে ব্যবহার করছেন ফেসবুক এবং মোবাইল এসএমএস। চায়ের স্টল থেকে করে সর্বত্র আলোচনা- আগামী নির্বাচনে কে হতে পারেন এই আসনের সংসদ সদস্য। আওয়ামী লীগের একাধিক ও বিএনপি, জামায়াত ইসলামি একক মনোনয়ন প্রত্যাশী নির্বাচনী মাঠ সরগরম করছেন। গত তিনটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা বিজয়ী হলেও বর্তমানে দলটিতে কোন্দল দেখা দিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত ইসলামি একক মনোনয়ন প্রত্যাশী মাঠে রয়েছেন। তারা চেষ্টা করছেন আওয়ামী লীগের কোন্দলকে পুঁজি করে আসনটি পুনরুদ্ধার করার জন্য।

এ আসনে আ’লীগের প্রার্থী ও কুমিল্লা জেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক ও  সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব। তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। তার সমর্থকগণের দাবি-এ আসনে তিনিই মনোনয়ন পাবেন। এলাকার উন্নয়নের ব্যাপারেও তিনি তৎপর। এলাকায় তিনি যথেষ্ট উন্নয়ন করেছেন।

জানা যায়, জামায়াতের মনোনয়ন প্রত্যাশী জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও চৌদ্দগ্রামের সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নাম আলোচনায় রয়েছে। তবে এ আসনে জামায়াতের সাংগঠনিক অবস্থান মজবুত বলে জানান নেতাকর্মীরা। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রার্থী জামায়াত নেতা ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এমপি হন।

এদিকে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ কামরুল হুদা। চৌদ্দগ্রামের রাজনৈতিক মাঠে জনপ্রিয়তার দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে থাকা হেভিওয়েট একজন প্রার্থী হিসেবে সাধারন মানুষের গ্রহনযোগ্যতাকে পূঁজি করে নির্বাচনে চমক দেখাতে পারেন। জনপ্রিয়তার পাল্লা অনেক ভারী কামরুল হুদার তৃণমূলে অবস্থানও মজবুত। ইতোমধ্যে গণসংযোগে অধিক তৎপর হয়েছেন তিনি। শান্তিপূর্ন নির্বাচনে কামরুল হুদার হাত থেকে বিজয় ছিনিয়ে নেয়া প্রতিপক্ষের জন্য কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলের কর্মসূচিগুলো পালন করছেন খুব জোরশোরে। স্থানীয় নেতাকর্মী তিনি সংগঠিত করে রেখেছেন। দলের মনোনয়ন পেলে তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলে প্রচার অব্যাহত রেখেছেন। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এ নেতা ২০১৪ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উপজেলার জগমোহনপুর এলাকায়, দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রলবোমা হামলায় ৮ বাস যাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায়- আসামি হিসেবে কামরুল হুদা প্রায় ৮ মাস কারাভোগ করেন। এ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতাকে আসামি করা হয়েছে। কামরুল হুদার নেতৃত্বে স্থানীয় বিএনপি এখন সুসংগঠিত। আগামী নির্বাচন নিয়ে কথা হয়  কামরুল হুদার সঙ্গে।

কামরুল হুদা জানান, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপি যাবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে দল যদি নির্বাচনে যায়, তাহলে আমি দলের কাছে মনোনয়ন চাইব। আমি যেহেতু স্থানীয়ভাবে দলের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে রেখেছি, সেহেতু দলের কাছে আমার অধিকারও বেশি বলে আমি মনে করি। তিনি আরো বলেন, দুঃসময়ে দলের হাল ধরে রেখেছি, অনেক মামলা-হামলা, জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। নানা প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে আমি দলকে সংগঠিত করতে তৎপরতা অব্যাহত রেখেছি। আশা করছি দল আগামী নির্বাচনে আমাকে মূল্যায়ন করবে।আমি দলের মনোনয়ন পাওয়ার আশা রাখি। মনোনয়ন পেলে বিজয়ের ব্যাপারেও আমি নিশ্চিত। কারণ সাধারণ মানুষরা আমার সঙ্গে আছেন। আমার এলাকায় যেসব নেতাকর্মীদের নামে রাজনৈতিক মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া হয়েছে, আমি নিজে সে সব মামলার তদারকি করে আসছি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি বিজয়ী হলে কে মাদকমুক্ত করব।

অন্যদিকে, এ আসনে পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহনের মনোভাব প্রকাশ করে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন। মাঠ পর্যায়ে থেকে বাড়ি বাড়ি পর্যন্ত যাচ্ছেন। জোরেশোরেই তিনি মাঠে নেমেছেন।

এ ব্যাপারে মিজানুর রহমান মিজান জানান, দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে আমি বিজয়ী হব। দীর্ঘদিন চৌদ্দগ্রাম থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে থাকাকালীন সময় থেকে অদ্যবধি, সংগঠনকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।  দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে মিজানুর রহমানের সে ধরনের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। দলের জন্য তার অবদান অনেক। সেজন্য দলের কাছে তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাবি করবেন বলে জানা গেছে। তিনি বলেন, আমি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হলে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াব। মানুষের দুঃখ-কষ্ট ভাগাভাগি করে নেব। এ অঞ্চলের বেকার সমস্যা নিরসনে শিল্প-কলকারখানা গড়ে তুলব। আইসিটি ট্রেনিং সেন্টার করব। এলাকার সমস্ত রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণসহ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার অবকাঠামো উন্নয়ন করব। এলাকার জনগণ আমার সঙ্গে। তাতে করে আমি বিজয়ের ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদী।

সূত্র জানায়, এ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে এম তমিজ উদ্দিন ভূঁইয়া সেলিমও রয়েছেন। এ আসন থেকে দলীয় মনোনয়নে নির্বাচন করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তিনি নির্বাচনী এলাকায় সাধারন মানুষ এবং কর্মী-সমর্থক সঙ্গে যোগোযোগ রক্ষা করে চলেছেন। তিনিও এ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে জানা গেছে। এম তমিজ উদ্দিন ভূঁইয়া সেলিম নিজের গ্রহনযোগ্যতাকে পূজি করে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী মাঠকে চাঙ্গা করে তুলছেন। দলের সকল কর্মকান্ডে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। স্থানীয় নেতাকর্মী সঙ্গে নিয়ে সাধারণ  কাছে যাচ্ছেন। স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাকর্মী কাছে তিনি জোর লবিং করে যাচ্ছেন। দলের মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে তিনি আশাবাদী বলে জানা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Dainik Renaissance

আমাদের ওয়েসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আপনাদের আশে পাশের সকল সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন
আপডেট সময় ০১:২০:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩
১৮৮ বার পড়া হয়েছে

কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম)

জমে উঠেছে চৌদ্দগ্রামের রাজনীতি

আপডেট সময় ০১:২০:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৩

চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নিয়ে কুমিল্লা-১১ আসনে নির্বাচনী আবহ বিরাজ করছে। কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের একটি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নে ভোটার ৩ লাখ ২৮ হাজার ১৫৯ জন। ভোট কেন্দ্র ১০৭টি ও ভোট কক্ষ ৬৪৪টি। আসনটিতে জমে উঠেছে নির্বাচনী রাজনীতি। বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা গণসংযোগে ব্যস্ত সময় পার করছেন। অনেকে প্রচারে ব্যবহার করছেন ফেসবুক এবং মোবাইল এসএমএস। চায়ের স্টল থেকে করে সর্বত্র আলোচনা- আগামী নির্বাচনে কে হতে পারেন এই আসনের সংসদ সদস্য। আওয়ামী লীগের একাধিক ও বিএনপি, জামায়াত ইসলামি একক মনোনয়ন প্রত্যাশী নির্বাচনী মাঠ সরগরম করছেন। গত তিনটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা বিজয়ী হলেও বর্তমানে দলটিতে কোন্দল দেখা দিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত ইসলামি একক মনোনয়ন প্রত্যাশী মাঠে রয়েছেন। তারা চেষ্টা করছেন আওয়ামী লীগের কোন্দলকে পুঁজি করে আসনটি পুনরুদ্ধার করার জন্য।

এ আসনে আ’লীগের প্রার্থী ও কুমিল্লা জেলা আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক ও  সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক মুজিব। তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। তার সমর্থকগণের দাবি-এ আসনে তিনিই মনোনয়ন পাবেন। এলাকার উন্নয়নের ব্যাপারেও তিনি তৎপর। এলাকায় তিনি যথেষ্ট উন্নয়ন করেছেন।

জানা যায়, জামায়াতের মনোনয়ন প্রত্যাশী জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও চৌদ্দগ্রামের সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের নাম আলোচনায় রয়েছে। তবে এ আসনে জামায়াতের সাংগঠনিক অবস্থান মজবুত বলে জানান নেতাকর্মীরা। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রার্থী জামায়াত নেতা ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এমপি হন।

এদিকে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ কামরুল হুদা। চৌদ্দগ্রামের রাজনৈতিক মাঠে জনপ্রিয়তার দিক থেকে অনেকটা এগিয়ে থাকা হেভিওয়েট একজন প্রার্থী হিসেবে সাধারন মানুষের গ্রহনযোগ্যতাকে পূঁজি করে নির্বাচনে চমক দেখাতে পারেন। জনপ্রিয়তার পাল্লা অনেক ভারী কামরুল হুদার তৃণমূলে অবস্থানও মজবুত। ইতোমধ্যে গণসংযোগে অধিক তৎপর হয়েছেন তিনি। শান্তিপূর্ন নির্বাচনে কামরুল হুদার হাত থেকে বিজয় ছিনিয়ে নেয়া প্রতিপক্ষের জন্য কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দলের কর্মসূচিগুলো পালন করছেন খুব জোরশোরে। স্থানীয় নেতাকর্মী তিনি সংগঠিত করে রেখেছেন। দলের মনোনয়ন পেলে তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন বলে প্রচার অব্যাহত রেখেছেন। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এ নেতা ২০১৪ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে উপজেলার জগমোহনপুর এলাকায়, দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রলবোমা হামলায় ৮ বাস যাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায়- আসামি হিসেবে কামরুল হুদা প্রায় ৮ মাস কারাভোগ করেন। এ মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ দলের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতাকে আসামি করা হয়েছে। কামরুল হুদার নেতৃত্বে স্থানীয় বিএনপি এখন সুসংগঠিত। আগামী নির্বাচন নিয়ে কথা হয়  কামরুল হুদার সঙ্গে।

কামরুল হুদা জানান, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপি যাবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে দল যদি নির্বাচনে যায়, তাহলে আমি দলের কাছে মনোনয়ন চাইব। আমি যেহেতু স্থানীয়ভাবে দলের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে রেখেছি, সেহেতু দলের কাছে আমার অধিকারও বেশি বলে আমি মনে করি। তিনি আরো বলেন, দুঃসময়ে দলের হাল ধরে রেখেছি, অনেক মামলা-হামলা, জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। নানা প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে আমি দলকে সংগঠিত করতে তৎপরতা অব্যাহত রেখেছি। আশা করছি দল আগামী নির্বাচনে আমাকে মূল্যায়ন করবে।আমি দলের মনোনয়ন পাওয়ার আশা রাখি। মনোনয়ন পেলে বিজয়ের ব্যাপারেও আমি নিশ্চিত। কারণ সাধারণ মানুষরা আমার সঙ্গে আছেন। আমার এলাকায় যেসব নেতাকর্মীদের নামে রাজনৈতিক মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা দেওয়া হয়েছে, আমি নিজে সে সব মামলার তদারকি করে আসছি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি বিজয়ী হলে কে মাদকমুক্ত করব।

অন্যদিকে, এ আসনে পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিজান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী। তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহনের মনোভাব প্রকাশ করে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন। মাঠ পর্যায়ে থেকে বাড়ি বাড়ি পর্যন্ত যাচ্ছেন। জোরেশোরেই তিনি মাঠে নেমেছেন।

এ ব্যাপারে মিজানুর রহমান মিজান জানান, দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে আমি বিজয়ী হব। দীর্ঘদিন চৌদ্দগ্রাম থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে থাকাকালীন সময় থেকে অদ্যবধি, সংগঠনকে শক্তিশালী করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।  দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে মিজানুর রহমানের সে ধরনের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। দলের জন্য তার অবদান অনেক। সেজন্য দলের কাছে তিনি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দাবি করবেন বলে জানা গেছে। তিনি বলেন, আমি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হলে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াব। মানুষের দুঃখ-কষ্ট ভাগাভাগি করে নেব। এ অঞ্চলের বেকার সমস্যা নিরসনে শিল্প-কলকারখানা গড়ে তুলব। আইসিটি ট্রেনিং সেন্টার করব। এলাকার সমস্ত রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট নির্মাণসহ স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার অবকাঠামো উন্নয়ন করব। এলাকার জনগণ আমার সঙ্গে। তাতে করে আমি বিজয়ের ব্যাপারে দৃঢ় আশাবাদী।

সূত্র জানায়, এ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে এম তমিজ উদ্দিন ভূঁইয়া সেলিমও রয়েছেন। এ আসন থেকে দলীয় মনোনয়নে নির্বাচন করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। তিনি নির্বাচনী এলাকায় সাধারন মানুষ এবং কর্মী-সমর্থক সঙ্গে যোগোযোগ রক্ষা করে চলেছেন। তিনিও এ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী বলে জানা গেছে। এম তমিজ উদ্দিন ভূঁইয়া সেলিম নিজের গ্রহনযোগ্যতাকে পূজি করে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী মাঠকে চাঙ্গা করে তুলছেন। দলের সকল কর্মকান্ডে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন। স্থানীয় নেতাকর্মী সঙ্গে নিয়ে সাধারণ  কাছে যাচ্ছেন। স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতাকর্মী কাছে তিনি জোর লবিং করে যাচ্ছেন। দলের মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়ে তিনি আশাবাদী বলে জানা গেছে।