ঢাকা ১০:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জসিমের ‘কেলেঙ্কারির’ বিরুদ্ধে ব্যবস্থার তথ্য জানতে চায় আইডিআরএ Logo নাসিরনগরে নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অসত্য, বিভ্রান্তিকর সংবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ Logo স্ত্রীর গলা কেটে হত্যাচেষ্টা, স্বামীকে পুলিশে দিলেন স্থানীয়রা Logo গৃহায়ন সংকট নিরসনে প্রকৌশলী জোয়ারদার তাবেদুন নবী’র ভূয়সী উদ্যোগ Logo রাজধানীতে আবারও চিরচেনা যানজট Logo কলেজছাত্রীর আপত্তিকর ভিডিও, গ্রেপ্তার ১ Logo মামুনুল হকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা Logo চৌদ্দগ্রামে বর্ণাঢ্য আয়োজনে আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তী উদযাপন Logo শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশ স্বল্পোন্নত হতে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে Logo কুমিল্লায় রোহিঙ্গাকে জন্ম নিবন্ধন দেওয়ার অভিযোগে ইউপি সচিব গ্রেফতার

রাজধানীতে চাঞ্চল্য ফিরে আসুক

ঈদুল আজহা উদযাপন

নিজস্ব সংবাদ :

দেশবাসী এবার শান্তিপূর্ণভাবেই ঈদুল আজহা উদযাপন করতে পেরেছেন, এটি স্বস্তির বিষয়। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে বিপুলসংখ্যক মানুষ বাড়ি গেছেন এবার। ফলে ঈদ উদযাপন তাদের কাছে বাস্তবিকই আনন্দদায়ক হয়ে উঠেছিল। বস্তুত ঈদের ছুটিতে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া বড় ধরনের কোনো অঘটন ঘটেনি। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে এবার ঈদে ঘরমুখী মানুষের ভোগান্তি তুলনামূলক কম হয়েছে। অবশ্য যানবাহনের বাড়তি চাপ থাকায় মহাসড়কের কোনো কোনো স্থানে যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। রেল ও নৌপথে ঘটেনি কোনো দুর্ঘটনা। সড়ক দুর্ঘটনা ও তাতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যথারীতি। বস্তুত সড়ক দুর্ঘটনা শুধু ঈদের সময় নয়, প্রতিদিনই ঘটছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি আরও গুরুত্বসহ ভাবা দরকার।

গত কয়েক বছর কুরবানির পশুর চামড়া নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা সংকট। চামড়ার ন্যায্যমূল্য না পেয়ে সেগুলো মাটিতে পুঁতে ফেলা, নদী-নালা বা সড়কে ফেলে দেওয়ার ঘটনাও অতীতে ঘটেছে। তবে এবার পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন হলেও কোনো কোনো এলাকায় নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কমে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। কুরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণ, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহণসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কর্তৃপক্ষকে আরও সময়োগযোগী পদক্ষেপ নিতে হবে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যেই কুরবানির বর্জ্য অপসারণের যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, তা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।

অতীতে লক্ষ করা গেছে, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার কয়েক মাস আগে থেকেই রেমিট্যান্সপ্রবাহ বৃদ্ধি পেত। এখন আর সেই প্রবণতা লক্ষ করা যায় না। ধারণা করা হচ্ছে, হুন্ডির কারণেই এমনটি ঘটছে। এ বছর ঈদুল ফিতরের আগে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় রেমিট্যান্স আসেনি। এটি চিন্তার বিষয়। কিছুটা স্বস্তির খবর হলো, সদ্য বিদায়ি মে মাসে ২২৫ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩২ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৭০ কোটি ডলার। জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের নেওয়া নানা উদ্যোগের ফলে আগের বছরের একই মাসের তুলনায় রেমিট্যান্সপ্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়াতে হলে অর্থ পাচার ও হুন্ডির বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে। তা না করে শুধু ডলারের দর বাড়ালে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ বাড়বে। প্রবাসীরা যাতে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠান, এ বিষয়ে তাদের উৎসাহিত করতে হবে।

ঈদের ছুটিতে রাজধানী অনেকটা ফাঁকা হয়ে গেলেও গ্রামাঞ্চলে জনজীবন হয়ে উঠেছিল উৎসবমুখর। ঈদ উপলক্ষ্যে অনেক প্রবাসী দেশে এসেছেন স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নিতে। এটি দেশের সার্বিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির একটি ইতিবাচক দিক বটে। বস্তুত ঈদের সময় টাকার প্রবাহ বেড়ে যায়। বিভিন্ন খাতে ব্যয় হওয়া এসব অর্থের জোগানদাতাদের মধ্যে প্রবাসীরা ছাড়াও রয়েছেন সরকারি চাকরিজীবী, দোকান কর্মচারী, পোশাক ও বস্ত্র খাতের শ্রমিকসহ বিভিন্ন ধরনের শ্রমজীবী। ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন খাতে বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতবদল হওয়ায় চাঙা হয়ে ওঠে অর্থনীতি, যা ঈদ উৎসবের একটি ইতিবাচক দিক।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

Dainik Renaissance

আমাদের ওয়েসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আপনাদের আশে পাশের সকল সংবাদ দিয়ে আমাদের সহযোগীতা করুন
আপডেট সময় ০৬:২৯:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪
৮ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীতে চাঞ্চল্য ফিরে আসুক

ঈদুল আজহা উদযাপন

আপডেট সময় ০৬:২৯:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪

দেশবাসী এবার শান্তিপূর্ণভাবেই ঈদুল আজহা উদযাপন করতে পেরেছেন, এটি স্বস্তির বিষয়। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে বিপুলসংখ্যক মানুষ বাড়ি গেছেন এবার। ফলে ঈদ উদযাপন তাদের কাছে বাস্তবিকই আনন্দদায়ক হয়ে উঠেছিল। বস্তুত ঈদের ছুটিতে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া বড় ধরনের কোনো অঘটন ঘটেনি। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির ফলে এবার ঈদে ঘরমুখী মানুষের ভোগান্তি তুলনামূলক কম হয়েছে। অবশ্য যানবাহনের বাড়তি চাপ থাকায় মহাসড়কের কোনো কোনো স্থানে যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। রেল ও নৌপথে ঘটেনি কোনো দুর্ঘটনা। সড়ক দুর্ঘটনা ও তাতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে যথারীতি। বস্তুত সড়ক দুর্ঘটনা শুধু ঈদের সময় নয়, প্রতিদিনই ঘটছে। সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি আরও গুরুত্বসহ ভাবা দরকার।

গত কয়েক বছর কুরবানির পশুর চামড়া নিয়ে তৈরি হয়েছে নানা সংকট। চামড়ার ন্যায্যমূল্য না পেয়ে সেগুলো মাটিতে পুঁতে ফেলা, নদী-নালা বা সড়কে ফেলে দেওয়ার ঘটনাও অতীতে ঘটেছে। তবে এবার পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন হলেও কোনো কোনো এলাকায় নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কমে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। কুরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণ, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহণসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কর্তৃপক্ষকে আরও সময়োগযোগী পদক্ষেপ নিতে হবে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যেই কুরবানির বর্জ্য অপসারণের যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, তা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য।

অতীতে লক্ষ করা গেছে, ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আজহার কয়েক মাস আগে থেকেই রেমিট্যান্সপ্রবাহ বৃদ্ধি পেত। এখন আর সেই প্রবণতা লক্ষ করা যায় না। ধারণা করা হচ্ছে, হুন্ডির কারণেই এমনটি ঘটছে। এ বছর ঈদুল ফিতরের আগে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় রেমিট্যান্স আসেনি। এটি চিন্তার বিষয়। কিছুটা স্বস্তির খবর হলো, সদ্য বিদায়ি মে মাসে ২২৫ কোটি ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩২ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৭০ কোটি ডলার। জানা যায়, বাংলাদেশ ব্যাংকের নেওয়া নানা উদ্যোগের ফলে আগের বছরের একই মাসের তুলনায় রেমিট্যান্সপ্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স বাড়াতে হলে অর্থ পাচার ও হুন্ডির বিরুদ্ধে কঠোর হতে হবে। তা না করে শুধু ডলারের দর বাড়ালে সাধারণ মানুষের ওপর চাপ বাড়বে। প্রবাসীরা যাতে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠান, এ বিষয়ে তাদের উৎসাহিত করতে হবে।

ঈদের ছুটিতে রাজধানী অনেকটা ফাঁকা হয়ে গেলেও গ্রামাঞ্চলে জনজীবন হয়ে উঠেছিল উৎসবমুখর। ঈদ উপলক্ষ্যে অনেক প্রবাসী দেশে এসেছেন স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উৎসবের আনন্দ ভাগ করে নিতে। এটি দেশের সার্বিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির একটি ইতিবাচক দিক বটে। বস্তুত ঈদের সময় টাকার প্রবাহ বেড়ে যায়। বিভিন্ন খাতে ব্যয় হওয়া এসব অর্থের জোগানদাতাদের মধ্যে প্রবাসীরা ছাড়াও রয়েছেন সরকারি চাকরিজীবী, দোকান কর্মচারী, পোশাক ও বস্ত্র খাতের শ্রমিকসহ বিভিন্ন ধরনের শ্রমজীবী। ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন খাতে বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতবদল হওয়ায় চাঙা হয়ে ওঠে অর্থনীতি, যা ঈদ উৎসবের একটি ইতিবাচক দিক।