আলোচিত ব্যবসায়ী আদম তমিজী হকের আবারও মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

গ্রেফতারের পরদিন গত ১০ ডিসেম্বর তমিজী হককে মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য রিহ্যাবে পাঠায় ডিবি। যথারীতি চিকিৎসকেরা তার মানসিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। এরপর থেকে তিনি রিহ্যাবেই ছিলেন।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) আদম তমিজী হকের আবারও মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে ডিবির একটি সূত্র জানিয়েছে।

আদম তমিজী হককে গ্রেফতারের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছিলেন, মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় তাকে রিহ্যাবে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য।

সোশ্যাল মিডিয়ায় তমিজীর লাইভ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যদি চিকিৎসকেরা বলেন মানসিক ভারসাম্যহীন, তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। কিন্তু উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যদি করে থাকে, তাহলে এর পেছনে আরও কেউ আছে কি না, সেটা তদন্ত করে বের করবো।

আদম তমিজীর বিরুদ্ধে রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় একটি মামলা রয়েছে। এছাড়া রমনা থানায় তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল।

হক গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আদম তমিজী হক। ২০২০ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন তিনি। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন তিনি।

গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ফেসবুক লাইভে এসে নিজের পাসপোর্ট পুড়িয়ে এবং আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেন তমিজী হক। এরপর তাকে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্যপদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। তার ব্রিটিশ নাগরিকত্ব রয়েছে।

তাকে গ্রেফতারের পর ডিবি প্রধান হারুন সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আদম তমিজী সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন অসংলগ্ন কথা বলেছেন। যে দেশে খেয়েপরে মানুষ হয়েছেন, যে দেশে তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, তিনি সেই দেশের পাসপোর্ট ফেসবুক লাইভে এসে পুড়িয়ে দিলেন। তিনি ইসরায়েল এবং মার্কিন মেরিন সেনাকে আহ্বান করেছেন, তাকে বাংলাদেশ থেকে উদ্ধার করার জন্য। এমনকি সরকার তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন।